আজ বিশ্ব দৃষ্টি দিবস। প্রতিবছর অক্টোবরের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার দিবসটি পালন করে বিশ্ববাসী। নির্দিষ্ট কিছু দিনে বিভিন্ন দেশে কিছু দিবস পালিত হয়। ঐ নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করা বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতেই এসব দিবস পালিত হয়। পালনীয় সেই সব দিবস গুলোর মধ্যে একটি হলো বিশ্ব দৃষ্টি দিবস।
অন্ধত্ব ও দৃষ্টিশক্তি হারানোর কারণ, চোখের বিভিন্ন রোগ এবং তাদের যত্ন সম্পর্কিত সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে। এই বছর এই বিশেষ দিনটি ১৩ অক্টোবর “লাভ ইউর আই” থিমে পালিত হচ্ছে। ২০০০ সালে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক অনুষ্ঠিত সাইট-ফার্স্ট-ক্যাম্পেইনের ফলশ্রুতিতে এই দিবসের শুরু হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় আন্তর্জাতিক অন্ধতা দূরীকরণ সংস্থার পরিচালনায় এই দিবসটি বহুল ভাবে প্রচারিত হয়ে ভিশন ২০২০ পর্যন্ত উন্নীত করা হয়েছে। ৯ অক্টোবর, ২০১৪ সালে বিশ্ব দৃষ্টি দিবসের বিষয়বস্তু ছিল- ‘আর নয় অবজ্ঞাপূর্ণ অন্ধতা’। এটা ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্ধত্ব প্রতিরোধ জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা (আইএবিপি) জানিয়েছে, অন্ধত্বের ৭৫ শতাংশ এবং গুরুতর দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। বিশ্ব দৃষ্টি দিবস প্রত্যেকের জন্য একটি মঞ্চ তৈরি করে, যেখানে সরকার, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদেরকে ‘সংহত লোককেন্দ্রিক চক্ষু যত্ন’ সেবা গড়ে তুলতে জোর দিতে পারবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৯ সালে দৃষ্টিশক্তির উপর প্রথম প্রতিবেদনটি চালু করেছিল। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ব জুড়ে কমপক্ষে দুই দশমিক দুই বিলিয়ন মানুষ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বা অন্ধ, তার মধ্যে এক বিলিয়ন মানুষের ক্ষেত্রে যাদের গ্লোকমা বা ছানির মতো সমস্যা হয়েছিল, তারা যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেতেন তাহলে এই অবস্থা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল।
Leave a Reply